• সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪২৯

সারা দেশ

শ্রীপুরে রাস্তা সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন

  • ''
  • প্রকাশিত ২৮ এপ্রিল ২০২৪

শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় রাস্তা সংস্কারের দাবিতে শ্রীপুর-গাজীয়ারন-পেলাইদ কলেজ রোডের প্রবেশমুখে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীসহ সাত গ্রামের শত শত মানুষ।রোববার (২৮ এপ্রিল) বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত এক ঘন্টা ব্যাপী এ কর্মসূচি পালন করেছে এলাকাবাসী।

শ্রীপুর-গাজীয়ারন-পেলাইদ কলেজ রোডের প্রবেশমুখে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে গ্রামবাসীর সাথে অংশ নেন গোসিঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহীন মোড়ল, স্থানীয় ইউপি সদস্য এবং এ সড়ক দিয়ে চলাচলকারী সাত গ্রামের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার প্রতিনিধিবৃন্দ।

অংশগ্রহনকারীরা জানান, শতবর্ষী পুরনো রাস্তাটি প্রথমে মাটি ফেলে ও পরবর্তীতে ইটের সলিং করে উন্নয়ন করা হয়েছিল। বর্তমানে এটি কার্পেটিংয়ের জন্য সরকারিভাবে দরপত্র দিয়ে উন্নয়ন সংষ্কারকাজ শুরুর আড়াই মাস পর বন বিভাগের লোকজন কিছু অংশে বাধা দিচ্ছে। অথচ রাস্তাটি শতবর্ষী পুরনো।গাজিয়ারন গ্রামের পলাশ মিয়া জানান, এটি আমাদের সাত গ্রামের মানুষের যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা। আমাদের পূর্ব পুরুষেরা এ রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করেছে। আমরাও চলাফেরা করছি। হাজারো দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে গাজিয়ারন, নতুন পটকা, পেলাইদ, পাঁচুলটিয়া, তাঁতীসুতাসহ সাতটি গ্রামের মানুষ কাঁচা সড়ক দিয়ে চলাফেরা করেছে। আগে ইট বিছানো রাস্তাটি ভেঙ্গে যাওয়ার পর সংষ্কারের উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা এখন চলছে ঢিমেতালে। স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল বিভাগের তত্ত্বাবধানে রাস্তাটি কার্পেটিং করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। দুই মাসের বেশি সময় যাবত সংষ্কারকাজ করা হলেও বর্তমানে সকল প্রকার কাজ বন্ধ রয়েছে। এতে সাত গ্রামের মানুষের মধ্যে উদ্বেগ উৎকন্ঠা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। পেলাইদ গ্রামের কলেজ পড়ুয়া সজীব হাসান জানায়, বর্ষাকালে কাঁধে ব্যাগ ও হাতে জুতা নিয়ে যাতায়াত করতে হয়। সড়কটির কিছু অংশ ইট বিছানো বাকি পথ কাদামাটির। আমার মতো সাত গ্রামের কমপক্ষে ৫’শ শিক্ষার্থী এমন দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে যাতায়াত করে থাকে।পেলাইদ গ্রামের কৃষক অমিনুল ইসলাম বলেন, আমাদের এলাকার সকল কৃষক তাদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারে নিতে সমস্যা হয়। এ যুগেও উপজেলা শহরের অতি নিকটে থেকেও কাদামাটির পথ পাড়ি দিয়ে উপজেলা সদরে যাতায়াত করতে হয়। এ অবস্থার উত্তরণ না ঘটলে সরকারের কাঙ্খিত সামগ্রিক উন্নয়নের সাথে আমরা একত্রিত হতে বাধাগ্রস্ত হতে হবে।

স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল বিভাগসুত্রে জানা গেছে, অতি সম্প্রতি শ্রীপুর-গাজীয়ারন-পেলাইদ নদীর ঘাট পর্যন্ত রাস্তাটি উন্নয়নের জন্য সরকারিভাবে দরপত্র আহবান করা হয়। যথারীতি ঠিকাদার নিয়োগ করে কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে। রাস্তাটির ওপর ইতোমধ্যে ৯টি কালভার্ট স্থাপন করা হয়েছে। স্থানীয় লোকজন জানান, বন বিভাগ রাস্তাটির উন্নয়ন কাজে বাধা সৃষ্টি করছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা যেখানে অচল সেখানে উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে দাবী করে তারা বলে, সকল উন্নয়নের পূর্বশর্ত হচ্ছে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন। শতবর্ষী রাস্তাটির উন্নয়নের স্থানীয় বন বিভাগের বাধা প্রদানের বিষয়টি আমাদের মর্মাহত করেছে। আমরা উপজেলা পর্যায়ের সরকারি নীতি নীর্ধারনী মহলের দ্বারস্থ হয়েছি। আমরা দ্রুত রাস্তাটির সংষ্কারকাজ সম্পন্ন চাই।

শ্রীপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শামসুল আলম প্রধান ও নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শোভন রাংসা জানান, এলাকাবাসীর কাছ থেকে যাতায়াত সমস্যা ও সংস্কার কাজ সংক্রান্ত বিষয়ে একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে তদন্ত করে প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে স্থানীয় বন বিভাগের কর্মকর্তাগণ দাবী করেন রাস্তাটিতে বন বিভাগের বেশ কিছু জমি রয়েছে। এটি রক্ষার দায়িত্ব বন বিভাগের সাথে সকল মহলের।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads